জয়পুরহাটে যুবক হত্যা মামলায় আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে ৪জন উপস্থিত ও চার জন পলাতক ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের সদরের তেঘর রেলগেট এলাকার মৃত তছির উদ্দীনের ছেলে সুজাউল ইসলাম ওরফে সেজাউল, মুজিবনগর এলাকার মৃত ময়নুদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া, পলিকাদোয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে লম্বা বাবু, পূর্ব দেবীপুরের মৃত জোব্বার মণ্ডলের ছেলে জিয়া ইসলাম, দেওয়ানপাড়ার হাসানের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে পিচ্চি জুয়েল, গৌরীপাড়ার শাহজাহান আলী মিস্ত্রীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম ওরফে কানা সবুজ, ওবাইদুল ইসলামের ছেলে রানা আহম্মেদ ও ইসলাম নগরের জালাল উদ্দিনের ছেলে মিঠুন।

মামলা সূত্রে জানা যায়,  জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূর্ব দেবীপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে কামালের সঙ্গে সেজাউলের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে আসামিরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে কামাল হোসেন রাতের খাবার শেষ করে। রাত সোয়া ১০টার দিকে লম্বা বাবু মোবাইল ফোনে কামাল হোসেনকে বাড়ির বাহিরে ডেকে নেয়। রাত সাড়ে ১০টায় লোকজনের চিৎকারে কামালের পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাহিরে এসে বাবুর বাড়িতে শরীর বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কামালের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ওই ঘটনায় নিহতের মা মোছাম্মদ বেগম বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর জয়পুরহাট সদর থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৫ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

পরবর্তী সময়ে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।